MYCSSTRAP
The world biggest CSS Trap!!
* Biplob_Mondol

জীব জগতের প্রতিটি জীবের জীবন ধারণের প্রধান প্রয়োজন খাদ্য। উদ্ভিদ-প্রাণী নির্বিশেষে প্রতিটি জীবই তাদের নিজ নিজ পরিবেশ থেকে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। মাছ একটি জলজ শীতল রক্ত বিশিষ্ট মেরুদন্ডী প্রাণী। জীবনধারণ, শরীর গঠন ও বৃদ্ধির জন্য মাছ জলজ পরিবেশ থেকে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে।
সম্প্রতি মাছ চাষের বেশ কিছু উন্নত কলাকৌশল উদ্ভাবিত হয়েছে। উন্নত কলাকৌশল ও প্রযুক্তি প্রয়োগ করে অধিক মাছ উৎপাদনের জন্য মাছের জীবনচক্রের বিভিন্ন দিক, যথা- মাছের শারীরবৃত্ত, কৌলিতত্ত্ব, খাদ্য ও খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস ইত্যাদি সম্পর্কে স্বচছ ধারণা থাকা দরকার। মাঠ পর্যায়ের গবেষণা, মাছের পরিপাক নালীর বিশ্লেষণ এবং শারীরবৃত্তীয় পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, মাছের খাদ্যের প্রকৃতি ও প্রকার, খাদ্যাভ্যাস এবং গৃহীত খাদ্য হজমের প্রক্রিয়া মাছের উৎপাদনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। সুষম খাদ্য সঠিক নিয়মে সরবরাহ করে পুকুরে মাছের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করা সম্ভব।




মাছের খাদ্য


যেসব দ্রব্য গ্রহণের ফলে মাছের দেহের বৃদ্ধিসাধন, ক্ষয়পূরণ ও শক্তি উৎপাদন হয় এবং মাছ বংশবৃদ্ধি করার উপযোগি হয় সেগুলোকে মাছের খাদ্য বলা হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য পুকুরে পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করা অপরিহার্য। খাদ্যদ্রব্য বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক (natural) ও সংশ্লেষী (synthetic) রাসায়নিক উপকরণের সমন্বয়ে গঠিত। জীবনধারণের জন্য অক্সিজেন ও পানির ন্যায় খাদ্যও অতি প্রয়োজনীয়। অক্সিজেন ও পানি খাদ্যের অন্যতম উপকরণ। পরিমিত পরিমাণে খাদ্যের যোগান দিয়ে মাছের অধিক উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়। মাছের বংশ বৃদ্ধিতে খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুষম খাদ্য গ্রহণে মাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় এবং মাছ যথাসময়ে যৌন পরিপক্বতা লাভ করে। এতে মাছের জনন গ্রন্থি (gonad) পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয় এবং ডিম্বাণু ও শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মাছের জীবনযাত্রার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি, যথা- রক্ত সংবহন, শ্বাসকার্য পরিচালনা, অভিস্রবণীয় চাপ নিয়ন্ত্রণ, প্রলম্বন (suspension) ও পানির ভিতরে স্থিতাবস্থানের জন্য প্রচুর পরিমাণে শক্তির প্রয়োজন হয়। মাছ গৃহীত খাদ্য থেকে এ শক্তি পায়। এ কারণে শৈশব অবস্থা থেকেই মাছকে নিয়মিত ও সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। মাছের পুকুরে খাদ্য সরবরাহ হঠাৎ ব্যাহত হলে এবং দীর্ঘ সময় খাদ্য প্রদান বন্ধ থাকলে মাছ বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারে। সুস্থ সবল পোনা উৎপাদনের জন্য পরিপক্ব মাছকে পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান করা দরকার।




খাদ্যের প্রকারভেদ


প্রকৃতিতে মাছের বহু ধরনের খাদ্য বিদ্যমান। এর মধ্যে যেমন রয়েছে জলজ ক্ষুদে উদ্ভিদ ও প্রাণী, তেমনি রয়েছে দ্রবীভূত (solution) পুষ্টি উপাদানসহ অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণীর পোষক। স্থল ভাগেও অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণিজ দ্রব্য রয়েছে, যেগুলো মাছের সুষম খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিছু সংখ্যক মাছ প্রধানত উদ্ভিজ খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। আবার কিছু সংখ্যক মাছ শুধুমাত্র প্রাণিজ খাদ্য গ্রহণ করে। কিন্তু অধিকাংশ মাছ দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনের জন্য প্রাণিজ ও উদ্ভিজ উভয় ধরনের খাদ্যই গ্রহণ করে থাকে। মাছের এসব খাদ্য আসে মূলত দুটি পরিবেশ বা উৎস থেকে। যথা-
.
*. মাছ যে পরিবেশে বা মাধ্যমে বাস করে, অর্থাৎ জলজ পরিবেশ থেকে এবং

*. জলজ পরিবেশের বাইরে অর্থাৎ পৃথিবীর স্থলভাগ থেকে।
.
খাদ্যদ্রব্যের উৎসের এ ভিন্নতা অনুসারে মাছের খাদ্যকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
.
*. প্রাকৃতিক খাদ্য (natural food) এবং
.
*. সম্পূরক খাদ্য (supplemental food)
.




প্রাকৃতিক খাদ্য


মাছের জীবনধারণের মাধ্যম পানি। কোন জলাশয়ের পানিতে স্বাভাবিকভাবে যে সব খাদ্যদ্রব্য উৎপন্ন হয়, সেগুলোকে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য বলা হয়। প্ল্যাঙ্কটন, জলজ কীটপতঙ্গ ও উদ্ভিদ, ক্ষুদে পানা, পুকুরের তলদেশের পচা জৈব পদার্থ, ইত্যাদি মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য।
.
[see the the next part- মাছ চাষে প্রাকৃতিক খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা । (পর্ব - ২)]
2016-01-13 20:22 (edited 2016-01-13 20:57 by Biplob_Mondol ) · (0)

Online: Guests: 1
Go to top

Insane